আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনারা কি জানতে চাচ্ছেন আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তাহলে এই আর্টিকেলটির শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 
তাই এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আরো জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়। আরো জানতে পারবেন প্রতিদিন কয়টা আমল কি খাওয়া উচিত। কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও শুকনো আমলকি খাওয়ার উপকারিতা। খালি পেটে আমলকি খেলে কি হয় এবং আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

আমলকি হল ভেষজ গুণসমৃদ্ধ একটি ফল। আমলকিতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুন থাকায় প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরিতে আমলকি ফল এবং ফলের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আমলকি নির্যাস থেকে তৈরি তেল অনেক উপকারী। তাই আমলকির বিভিন্ন কার্যকারিতার উপর বৃদ্ধি করে এই আর্টিকেলের মধ্যে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

অন্যান্য ফলমূলের তুলনায় আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। আমলকিতে ভিটামিন-সি এর পরিমাণ কলার থেকে ৬০ গুণ, আমের থেকে ২৩ গুণ, আপেলের থেকে ১২০ গুণ, কমলার থেকে ১৫-২০ গুন, পেয়ারা ও লেবুর থেকে ৫-১০ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের দেহে যে পরিমাণ ভিটামিন-সি প্রয়োজন হয় তা প্রায় দুই তিনটি আমলকি খেলে পূরণ হবে।

আমলকির বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস

আমলকি টক জাতীয় একটি ফল। আমলকি বৈজ্ঞানিক নাম হলো-Phyllanthus Emblica। স্থানীয় নাম-আমলকি, অমৃতকলা, শ্রীফল, ধাত্রী। ভেষজ নাম Embilica Officinalis Gaertn। আমলকি Eophorbiaceae পর্বের Magnoliopsida শ্রেণীর উদ্ভিদ, বর্গ-Malpighiales, পরিবার-Phyllanthaceae, গোত্র-phyllantheae, উপগোত্র-Flueggeinae, গন-phyllanthus, প্রজাতি-P.emblica। আমলকী উদ্ভিদের ব্যবহার্য অংশগুলো হল পাতা, ফল এবং গাছের বাকল। এই ফল কে ইংরেজিতে বলা হয়- Amla। আমলকি ফাইলান্থাসি পরিবারের এক ধরনের টক জাতীয় ভেষজ ফল।

আমলকির পুষ্টিগুণ উপাদান

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে লেখা এই আর্টিকেলে এখন আমরা আলোচনা করব আমলকির পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ উপাদান। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি বা এস্করবিক এসিড(৪৪৫ মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম), ফুরোসিন, কোরিলাগিন, কোয়েরসেটিন, ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা থ্রি, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, কপার এবং ভিটামিন বি এছাড়াও আরো অনেক উপাদান রয়েছে বলে মনে করা হয়। 

তবে মতভেদ রয়েছে। আমলকিতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মূল কারণ এলাজিটানিন পদার্থ যেমন এমব্লিকানিন-এ (৩৭%),-বি (৩৩%), পানিগ্লুকোনিন(১২%), পেডাংকুলাগিন(১৪%) এবং আরো রয়েছে পানিক্যাফোলিন, ফিলানেমব্লিনিন-এ, বি, ডি, ই, সি, এফ ভিটামিন-সি নয়। আমলকিতে আরো আছে পলিফেনাল যেমন-গ্যালিক এসিড, কেমফেরল, এ্যালাজিক এসিড, ফ্ল্যাভোনয়েড।

প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। তাই এখন আমরা জানবো প্রতিদিন কয়টি আমলকি খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে। আমলকি ফলের মধ্যে অধিক পরিমাণে ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, পটাশিয়াম, গ্যালিক এসিড, এ্যলাজিক এসিড এবং অনেক ক্ষারীয় পদার্থ থাকার কারণে অতিরিক্ত আমলকি খেলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। কারণ যে কোন খাবার অতিরিক্ত খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

তাই নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো খেতে হবে। আপনারা চাইলে কাঁচা অথবা শুকনো আমলকি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি অথবা সর্বোচ্চ পাঁচটি পর্যন্ত আমলকি খেতে পারেন এবং যদি আমলকির গুঁড়ো খান তাহলে ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন। আর যদি মনে হয় এর চেয়ে বেশি খেলে সমস্যা হচ্ছে না তাহলে খেতে পারেন। তবে কম খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই সমস্যা গুলো সম্পর্কে আমরা নীচে আলোচনা করেছি।

আমলকির খাওয়ার উপকারিতা | আমলকি খেলে কি উপকার হয়

আমলকিতে রয়েছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ উপাদান। যদিও আমলকির স্বাদ টক কিন্তু এর পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে জানলে মনে হবে অনেক কার্যকরী এবং খেতে মনে চাবে। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে অধিক। আর এই উপাদান গুলো আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাইতো আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমলকি রাখা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেই আমলকি খাওয়ার উপকারিতা এবং আমলকি খেলে কি উপকার হয় সে সম্পর্কে।
  • আমলকি ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আমলকি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের মধ্যে থাকা ফ্রীরেডিক্যালকে ধ্বংস করার পাশাপাশি ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে প্রতিরোধ করে এবং দেহ থেকে সকল প্রকার বিষাক্ত পদার্থ বের করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আমলকি।
  • আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি সহ এমন কিছু উপাদান যা চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আমলকির পানিও অংশ, রস এবং আমলকির নির্যাস থেকে তৈরি তেল চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় রুক্ষতা দুর হয় চুল হয়ে ওঠে মসৃণ কালো ও ঝলমলে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • টক জাতীয় ফল আমলকিতে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আমলকির পানিতে থাকা দ্রবণীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
  • আমলকি দেহের মধ্যে খনিজ পদার্থ ও কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। কোলাজেন হল এক প্রকারের প্রোটিন যা ত্বকের হাইড্রেশন বা আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শুষ্কতা দূর করার মাধ্যমে ত্বকের সুস্থতা ও দৃঢ়তা ধরে রাখে এবং ত্বককে রোদের আল্ট্রাভায়োলেট রশিদ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।
  • চোখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য আমলকির গুরুত্ব অপরিসীম। আমলকির মধ্যে রয়েছে ফাইটো কেমিক্যাল এবং ভিটামিন সি এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন-এ যা চোখের দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখে এবং চোখ জনিত সকল প্রকার সমস্যা ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চোখকে প্রটেক্ট করে এবং দীর্ঘদিন চোখকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • আমলকির রস বা নির্যাস পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম জনিত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা তন্তু যা হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। আমলকি এবং পানি মেশানো জুস ও আমলকির তৈরি আচার খেলে পেটের বদহজম জনিত সমস্যা দূর করে।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি অনেকটাই কার্যকরী। আমলকিতে থাকা রাসায়নিক নির্যাস মনকে সজীব উজ্জীবিত করার পাশাপাশি মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে ও সক্রিয় করে তোলে। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও আমলকি ভূমিকা রয়েছে। আমলকির মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান ও নির্যাস রয়েছে যা রক্তকে পরিষ্কার এবং রক্তের গ্লুকোজ ও শর্করাকে স্বাভাবিক রাখে। ফলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে আমলকি খাওয়ার ফলে।
  • আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অনেক টক হওয়ায় এটি মুখের রুচি স্বাদ এবং খিদে বাড়াতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করা।
  • আমলকি দেহের কোলেস্ট্রল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করাে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া আমলকি হার্টের জন্য অনেক উপকারী। আমলকির নির্যাস রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তনালী কে চিকন হতে দেয় না এছাড়াও শিরা ও ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং হার্ট সুস্থ ও সক্রিয় থাকে।
  • আমলকির রস দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আমাদের দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমা হওয়ার কারণে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। আর আমলকিতে এমন কিছু রাসায়নিক নির্যাস রয়েছে যা অতিরিক্ত চর্বিকে গলিয়ে দেহের ওজন কমতে সাহায্য করে এছাড়াও শরীরে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বেড়ে গেলে আমলকির নির্যাস দেহের কোলেস্টেলের মাত্রা কে স্বাভাবিক।
  • আমলকির মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান যা মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। পরিমাণ মতো আমলকির রস মুখের মধ্যে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী কয়েকদিন করলে আশা করা যায় ব্রণের দাগ দূর হবে।
  • আমলকির মধ্যে রয়েছে আয়রন যার রক্তস্বল্পতা দূর করে, রক্তবৃদ্ধি করে, রক্ত পরিষ্কার করার পাশাপাশি রক্তের লোহিত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ব্রোনকাইটিস ও অ্যাজমার সমস্যার জন্য আমলকি অনেক উপকারী হতে পারে। যাদের এ সকল সমস্যা আছে তারা প্রতিনিয়ত আমলকি খেতে পারেন এতে করে ব্রোনকাইটিস ও আজমার সমস্যা অনেকাংশেই কমতে পারে।
  • আমলকির নির্যাসে থাকা পুষ্টিগুণ উপাদান আমাদের দেহের মাংসপেশী, দাঁত ও দাঁতের মাড়ি, হাড়কে মজবুতর করার পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেহকে সুস্থ রাখে।
  • আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ক্ষত নিরাময় এবং দেহের টিস্যু গুলোকে সুস্থ সবল রাখে। ফলে ক্ষতস্থানের ত্বক হয়ে ওঠে সুস্থ সবল ও স্বচ্ছ এবং ব্যথা বেদনা দূর করে। এছাড়াও আমলকি ডিটক্সিফিকেশনে ব্যাপক অবদান রাখে যা দেহের টক্সিন দূর করে এবং ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃন।

আমলকির খাওয়ার অপকারিতা | আমলকি খেলে কি ক্ষতি হয়

আমলকি হল টক জাতীয় রসালো এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। আমলকিতে থাকা ভিটামিন মিনারেল ও নিউটিশন আমাদের দেহের বিভিন্ন রকম উপকার করে। কারন আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ অনেক। কিন্তু এ ফলের উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য ফলের মত আমলকিরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা রয়েছে। আমরা যখন অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খাই তখন এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এছাড়াও বিশেষ কিছু অবস্থায় আমলকি খেলেও পার্শ্বপ্রক্রিয়া দেখা দেয়। চলুন তাহলে আমলকির ক্ষতিকর দিক ও অপকারিতা জেনে নেয়া যায়।
  • যেকোনো ধরনের সার্জারি কিংবা অপারেশন করার আগে ওপরে আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে না হলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শীতকালে অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খেলে সর্দি কাশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে যাদের অতিরিক্ত ডায়াবেটিস এবং কিডনির সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমলকি খেতে হবে।
  • আমলকি খেলে যেমন রক্ত জমাট বাধা সমস্যা দূর হয় তেমনি অধিক পরিমাণে আমলকি খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং শরীরে যদি ক্ষত স্থান থাকে সেই ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে।
  • অধিক পরিমাণে আমলকি খেলে গর্ভবতী বা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
  • যে সকল মহিলারা বাচ্চাদেরকে দুধ পান করায় তাদের আমলকি না খাওয়াই ভালো তবে যদি খেতে চায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
  • অধিক পরিমাণে আমলকি খেলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের আমল কি না খাওয়াই ভালো
  • আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং টক থাকার কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খেলে মুখের পিচ্ছিলতা দূর হওয়ার কারণে মুখে খসখসে ভাব দেখা দেয় এবং জ্বালাপোড়া হয়।
  • পরিমাণ মতো আমলকি খেলে যেমন কোষ্ঠকাঠি না সমস্যা দূর হয় তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খেলে পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খেলে এবং আমলকি ও আদায় একসঙ্গে খেলে লিভার বা জকৃতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • খুব বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আমার পরামর্শ হলো এসিডিটির সমস্যা থাকলে আমলকি না খাওয়াই ভালো।
  • অধিক পরিমাণে আমলকি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমলকি খাওয়ার নিয়ম

আমলকি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। আমলকি আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ এবং অসুস্থতা জনিত সমস্যা দূর করে। নিয়ম মেনে আমলকি খেলে এর ইতিবাচক প্রভাব আমাদের দেহে উপর পড়ে এবং অসুস্থতা দূর হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অনেকেই আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানে না। 

তাই আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও জানতে হবে। তাহলে চলুন আমলকি খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নেই। আমলকি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যেমন শুকনো, কাঁচা এবং পাকা অবস্থায়। তবে সাধারণত আমলকি দুই ভাবে খাওয়া যায় প্রথমটি হল ফল হিসেবে কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায় অথবা রস বের করে জুস হিসেবে খাওয়া যায়। 

আর দ্বিতীয়টি হল ভালোভাবে আমলকি পরিশোধন করার পর তেল অথবা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাডও আমলকির টোটকা তৈরি করে খেলে দেহের বিভিন্ন রকম উপকার হয় এবং অসুখ ভালো হয়। ভিটামিন সি এর অভাব দূর করার জন্য গোটা আমলকি চিবিয়ে খাওয়া যায় তবে চিবিয়ে খাওয়ার সাত থেকে দশ মিনিটের মধ্যে পানি খাওয়া যাবে না। 

কাঁচা আমলকি ব্লেন্ডারে ভালো করে গুড়া করার পর রস বের করে প্রতিদিন সকালে খেলে দেহের বিভিন্ন রকম উপকার হয় কারণ কাঁচা পাকা শুকনো যে কোন অবস্থায় আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালবেলা। শুকনো আমলকি পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর সেই পানি এবং আমলকি খেলে উপকৃত হবে। আমলকি গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর ঠান্ডা হয়ে গেলে পানিসহ আমলকি খেয়ে ফেলুন উপকার হবে। 

কাঁচা আমলকি কুচি কুচি করে কেটে রাতে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সকালবেলা সেই পানি সহ আমলকি খেয়ে ফেলুন উপকৃত হবে। শুকনো আমলকির পাউডার তৈরি করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে অথবা পাউডার ক্যাপসল হিসেবে খাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও আমলকির বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায় যেমন বিভিন্ন রকম সবজির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়। আমলকি সালাত বানিয়ে খাওয়া যায়।

কাঁচা আমলকির উপকারিতা

আমলকি সাধারণত শুকনো, পাকা, গুঁড়ো এবং কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। তবে আমলকির পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে হলে অবশ্যই কাঁচা অবস্থায় আমলকি খেতে হবে। কারণ আমলকি শুকনো অথবা রান্না করে খেলে ভিটামিন ও পুষ্টি কিছুটা কমে যায় তাই কাঁচা আমলকিতে ভিটামিন ও পুষ্টি বেশি থাকায় এর উপকারিতাও অনেক। কিন্তু আমলকিতে অতিরিক্ত টক ও হালকা তেতো হওয়ায় আমলকি অনেকেই খেতে পারে না। 

সে ক্ষেত্রে আপনারা লবণ ও মরিচ দিয়ে আমলকি খেতে পারেন। আমরা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলাম। চলুন তাহলে এবার কাঁচা আমলকির উপকারিতা গুলো জেনে নেই। কাঁচা আমলকিতে এন্টিব্যাকটেরিয়া এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় এটি চিবিয়ে খেলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় না। বমি হওয়ার আশঙ্কা হলে কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়ে যায়। 

কাঁচা আমলকির রস অথবা কাঁচা আমলকি বাটা চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত কালো এবং মসৃণ হয়, মাথার খুশকি দূর হয় চুল পড়া বন্ধ হয়। কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলে মুখের স্বাদ এবং রুচি বৃদ্ধি পায়। কাঁচা আমলকি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচা আমলকির রস দিয়ে মুখে প্রলেপ দিলে মুখের ব্রণ ও দাগ দূর হয়। কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কাঁচা আমলকি ভেষজ ঔষধ এবং আমলকির তেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

শুকনো আমলকির উপকারিতা

আমলকি সুপারফুডের থেকে কোন অংশে কম নয়।কারণ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেলস ও নিউট্রিশন যা দেহের অনেক উপকার করে। এসব পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই আমলকি খেতে পারে না অতিরিক্ত টক ও হালকা তেতো হওয়ায়। সমস্যা নেই আপনারা চাইলে আমলকি শুকিয়ে খেতে পারেন কারণ শুকনো আমলকিতে টকের পরিমাণ কম থাকে ফলের সকলেই শুকনো আমলকি খেতে পারে। 

তাই এখন আমরা আলোচনা করব শুকনো আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। শুকনো আমলকিতে ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। শুকনো আমলকির গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর হয়। 

শুকনো আমলকি চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। শুকনো আমলকি ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং চোখের চুলকানি চোখের পানি পড়ার সমস্যা দূর হয়। শুকনো আমলকিতে অথবা গুঁড়ায় প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনাল থাকে যা পেটের পিড়ার সমস্যা দূর করে এবং পেটের বিষাক্ততাকে নষ্ট করে দেয়। এছাড়াও শুকনো আমলকি গুড়া করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে প্রত্যেক ঋতুতে খাওয়া যায় যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।

খালি পেটে আমলকি খেলে কি হয়

আমলকি ফলের মধ্যে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকায় এই ফল ওষুধের মত কাজ করে। পরিমাণ মতো আমলকি সাধারণত যেকোনো সময়ে যে কোন অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে তবে সকাল বেলা খালি পেটে আমলকি রস খাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে। চলুন তাহলে জেনে নেই খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা এবং খালি পেটে আমলকি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। 

সকাল বেলা খালি পেটে আমলকির রস খেলে ডিটক্সিফিকেশনের বৈশিষ্ট্য বেশি কার্যকারিত হয় অর্থাৎ দেহের দূষিত পদার্থকে বের করে দেয়। এবং দেহের ভিতরে থাকা টক্সিনকে নির্মূল করে বাহিরে বের করে ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ভিতরের অতিরিক্ত ফ্রিরেডিকেলকে ডিটক্সিফিকেশনের সাহায্যে নির্মূল করে। 

সকালে খালি পেটে আমলকির রসের জুস খেলে দেহের ওজন কমে যায় কারণ আমলকি নির্যাসে ক্যালোরি কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে ফলে সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেলে ফাইবারের কারণে দীর্ঘ সময় খিদা লাগে না এবং দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়ায় যার কারণে ধীরে ধীরে দেহের ওজন কমতে থাকে। সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেলে দেহের পুষ্টি শোষণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে বিশেষ করে ভিটামিন-সি। 

কারণ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে । আমলকিতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং উদ্ভিদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তবে আমলকির স্বাদ টক ঝাঁজালো এবং তেতো হওয়ার কারণে সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কার্যকরী নাও হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে খালি পেটে আমলকি খেলে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে রক্তের শর্করার মাত্রা উঠানামা করতে পারে তাই পরিমাণ মতো খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আমলকি অনেক উপকারী। আমলকিতে রয়েছে অধিক মাত্রায় ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন মিনারেল ও নিউট্রিশন। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় আমলকির উপকারিতা সম্পর্কে। আমলকির উপাদানগুলি গর্ভাবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের দেহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের কারণে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেই সমস্যাগুলোকে প্রতিরোধ করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। 
  • সেজন্য চিকিৎসকের মাঝে মাঝে গর্ভবতী মায়েদেরকে আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ গর্ভাবস্থায় সাধারণত মেয়েরা টক জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। তাই এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বলা যায় গর্ভবতী বা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য আমলকি অনেক উপকারী। চলুন তাহলে গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
  • গর্ভাবস্থায় মায়েদের শারীরিক পরিবর্তনের কারণে খাওয়ার রুচি এবং মুখের স্বাদ কমে যায় এ সময় আমলকি খেলে আমলকিতে থাকা ভিটামিন-সি খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে এবং মুখের স্বাদ ঠিক রাখে। এছাড়া আমল কিসের পরিমাণে ফাইবার যা গর্ভবতী মায়েদের এসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রোনাইটের মত সমস্যাকে দূর করে।
  • গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের একটি সমস্যা বেশি দেখা যায় আর তা হল বমি বমি ভাব এ কারণে গর্ভকালীন সময়ে মায়ের টক জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। তাই এ সময় আমলকি খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়েছে।
  • গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের আরো বেশ কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। যেমন-মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, অলসতা, ক্রান্তি মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এ জাতীয় সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পেতে গর্ভবতী মায়েরা আমলকি খেতে পারে। এতে করে অনেকাংশেই সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের হাত পা ফুলে যাওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ। তাই এ সময় মায়েরা আমলকি খেতে পারে। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং এন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান যা গর্ভবতী মায়েদের হাত পায়ের ফোলা অনেকাংশেই রোদ করে। এছাড়াও আমলকিতে থাকা পানীয় উপাদান দেহের হাইড্রেশন বা আর্দ্রতা স্বাভাবিক রাখে।
  • গর্ভধারণকালীন সময়ে মায়েদের রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তাই এ সময়ে আমলকি খেলে আমলকিতে থাকা আয়রন ও ভিটামিন-সি রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং লোহিত রক্তকণিকা গুলোকে বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি আমলকি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে।
  • গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে আরেকটি উপকারিতা হলো-আমলকি খাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি ও মেধা বিকশিত হয়। যেহেতু শিশুরা গর্ভে থাকা অবস্থাতেই তাদের স্মৃতিশক্তি ও মেধা বিকশিত হতে শুরু করে তাই এ সময়ে মায়েদের অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আমলকি খাওয়া উচিত। কারন আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য স্মৃতি বর্ধনশীল উপাদান।
  • আমলকি খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ গর্ভকালীন সময় মায়েদের বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো রোগ এবং অসুস্থ দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভধারণকালিন সময়ে আমলকি খেলে দেহে এন্টিবডি তৈরি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে আরেকটি উপকারিতা হলো-আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি দেহে কোলাজেন উৎপাদনে অবদান রাখে এবং ভ্রুণের টিস্যু ও প্লাসেন্টা গঠনে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রস্রাবের ত্রুটি ও গর্ভপাত প্রতিরোধ করে। এছাড়াও আমলকিতে রয়েছে ফলিক এসিডের উৎস যা নিউরন টিউ বা শিশুর জন্মগত ত্রুটি গুলোকে প্রতিরোধ করে এবং গর্ভে থাকা শিশু স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিকভাবে বিকশিত করে।

শেষ কথা

এই আর্টিকেলে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এবং আরো আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা যদি আমলকির এ সকল গুনাগুন পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মমাফিক এবং পরিমাণ মতো আমলকি খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত আমলকি খেলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এবং দেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আমলকি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আমলকি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি এরকম শিক্ষণীয় ও তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এই ওয়েবসাইটে এরকমি ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল আপলোড করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url